শরিয়াত
গান নম্বর- ১৮৬
শরিয়াতে পঞ্চবেনা রয়েছে দলিলে কয়।
কলেমা, নামায ও রোজা, হজ্জ আরো যাকাত ও হয়।।
এক
কলেমা হয় পাঁচ প্রকারে, তায়েবা, শাহাদাৎ হয়রে।
তাওহীদ ও তামজিদ ও রয় রে, রাদ্দে কোফর শেষে হয়।।
দুই
হলো নামায পঞ্চ প্রকার, শোন কি-কি বলছি এবার।
ফরয, সুন্নত, নফল তাহার, ওয়াজিব, মোস্তাহাব কয়।।
তিন
দিনে পাঁচবার নামায আছে, ফযর, যোহর, আছর মাঝে।
মাগরিবের পর ইশা শেষে, এভাবেতেই পড়তে হয়।।
চার
তিরিশ রোযা রয় বছরে, যাকাত রয় সম্পদের পরে।
জীবনে হজ্জ একই বারে, সেরু পাগলা জেনে কয়।।
রচনা- ০৫-১০-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ১৮৭
নবীর ও মাধ্যমে প্রভু, আসমানি কিতাব পাঠায়।
তা থেকে শরিয়াত বিধান, আসিয়াছে এ ধরায়।।
এক
যুগে যুগে পয়গম্বরে, এসেছে ইসলাম প্রচারে।
শরিয়াতের রূপটি ধরে, এ বিশ্বে তাহা ছড়ায়।।
দুই
প্রকাশ হয় বন্দেগীর বিধান, জীব কেন এই ধরায় পাঠান।
পাপ পুণ্য হয় কেমনে প্রমাণ, কিতাবেই প্রমাণ করায়।।
তিন
সেই কিতাবের প্রমাণ ধরে, দেখো বিশ্ব চরাচরে।
ধর্ম কর্ম সবাই করে, বলতেছে সেরু পাগলায়।।
রচনা- ০৫-১০-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ১৮৮
শরিয়াত সত্য জানো ঈমান আনো, ঐ কলেমায়।
ঈমান বিনে ঐ নিদানে, হইবে বড় অসহায়।।
এক
আগে এক আল্লাহ্ মানো, নবী, রাসুল সত্য জানো।
ফেরেশতা রয়েছে হাজার, তা মিথ্যা নয়।
একদিনে কিয়ামত হবে, কেউ সেদিন পাবে না রেহাই।।
দুই
একদিনে হাশরো হবে, সকলকে উঠাইবে।
আল্লাহ্ সেদিন কাজী হবে, জেনো নিশ্চয়।
পাপ পুণ্যের হিসাব মতো, সেদিন প্রভু দিবেন গো রায়।।
তিন
পুণ্য করলে বেহেশতে যাবে, সেথায় কতো আরাম পাবে।
পাপ করলে দোযখে যাবে, কষ্ট সেথায়।
যাইতে বেহেশত আনো ঈমান, বলিতেছে সেরু পাগলায়।।
রচনা-০৪-০৩-২০১৪ ইং সাল
গান নম্বর- ১৮৯
মারিফাতের ধর্ম কাহার মাধ্যমে আসে ধরায়।
কোথায় তাহা লিপিবদ্ধ আছে এখন কোন যায়গায়।।
এক
সে ধর্ম কও কি প্রকারে, আসিয়াছে এ ভূধরে।
এখন তাহা কি রূপ ধরে, রহিয়াছে এ ধরায়।।
দুই
সে ধর্মে রয় কি কি বিধান, অনুমান না কি বর্তমান।
সত্য মিথ্যা কর্ম প্রমাণ, কেমনে করে সবাই।।
তিন
মারিফাত স্তর স্তরে জানিতে চাই তোমার তরে।
খুলে বলো ধিরে ধিরে, জানতে চাই সেরু পাগলায়।।
রচনা- ০৫-১০-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ১৯০
নামায ছাড়া আখেরাতে, নাই কাহারও শান্তি নাই।
কে মুসলমান কে ইমানদার, নামাযেতেই চেনা যায়।।
এক
নামাযও তরক করিলে, কে কে অসন্তুষ্ট হয়রে।
হাদিসেতে এই কথাটি রাসুলেতে ফরমায়।
নামায ছাড়া এই ভবেতে, নাই কাহারও মুক্তি নাই।।
দুই
ফযরও তরক করিলে, ইমান ব্যাজার হয় গো দিলে।
যোহরে পয়গম্বর ব্যাজার, আসর ব্যাজার ফেরেশতায়।
মাগরিবে কোরআন হয় ব্যাজার, আল্লাহ্ ব্যাজার হয় ইশায়।।
তিন
সামসুদ্দিন কয় পাগলা সেরু, ভুলেও নামায নাহি ছেড়ো।
পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ো, দিবা রাত্রি মসজিদায়।
বে-নামাযির আল্লাহ্র দরগায়, নাইরে তাহার যায়গা নাই।।
রচনা- ০২-০১-১৯৯৫ ইং সাল
গান নম্বর- ১৯১
আল্লাহ্ হয় রহমান রহিম, সব দেবে ক্ষমা করে।
তাইতে আমরা দাঁড়ায় গো নতশিরে, আল্লাহ্ মাফ করিবেন আমারে।।
এক
আমরা তো আল্লাহরই ভক্ত, তাই নামাযে যায় পাঁচ ওয়াক্ত।
আসক্ত হইয়া ডাকি তারে।
দয়াল করেছি অগাধও গোনাহ, উদ্ধার করো আমারে।।
দুই
ভুলত্রুটি নামাযে তবু, আল্লাহ্ ছাড়া নাইরে প্রভু।
কভু না গো ভুলেছি তাহারে।
কিছুই বুঝিনা তবু যায় মসজিদের কাতারে।।
তিন
আমার যত ভুলত্রুটি, পাপরাশির ঐ খুঁটিনাটি।
মাফ করবে এ আশা মোর অন্তরে।
প্রভু আমার দাতা দয়াল, এ আশা মোমিনেরে।।
চার
যদিও কিছুই না জানি, আল্লাহ্ রাসুল সবই মানি।
বিশ্বাস রাখি একমাত্র তাহারে।
সামসুদ্দিন কয় পাগলা সেরু, বিশ্বাস রেখো আল্লাহ্রে।।
রচনা- ০৬-০১-১৯৯৫ ইং সাল
গান নম্বর- ১৯২
চর্ম চক্ষে যা দেখিছো, তাহারেই শরিয়াত কয়।
আনাছের আতশে তৈরি, রুহুটি হায়ানি হয়।।
এক
নফসটি তাঁর হয় আম্মারা, মোমকেনাল অজুদের ধারা।
নাছুত মঞ্জিলে শরা, রঙটি তাঁর ছিয়াতে রয়।।
দুই
মোকাম যাহার হয় কবকাউসিন, ঈমানে বেল-গায়েব একিন।
মক্কেল তাহার হয় আযাযিল, শরিয়াত অর্থ আইন হয়।।
তিন
সেরু পাগলা ভেবে বলে, স্বাদটি তাঁর কড়ুয়ায় চলে।
শরিয়াত হয় আদ্য মূলে, মনেতে জেনো নিশ্চয়।।
রচনা- ৩১-০৮-১৯৯৭ ইং সাল
গান নম্বর- ১৯৩
শরিয়াতো তাহাকেই বলে।
সর্ব প্রথম তুমি যাহা, অবগত হইলে।।
এক
ধুম করে এক শব্দ হলো, হেতু জানতে মন চাহিলো।
জানার জন্য রওয়ানা দিলো, শেষে হেতু জানিলে।।
দুই
শব্দ শ্রবণ হয় শরিয়াত, জানতে চাওয়া হয় তরিকত।
রওয়ানা দিলে হয় হকিকত, মারিফাত জানতে পারিলে।।
তিন
এরূপে স্পর্শ দর্শন, স্বাদে কিংবা হলে শ্রবণ।
সর্বক্ষেত্রে একই রকম, পাবে বিচার করিলে।।
চার
যেখানে শরিয়াত নাই, সেথা মারিফাত পাবে কোথায়।
আদ্য মূলে শরিয়াত হয়, কহে সেরু পাগলে।।
রচনা- ০৬-২০-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ১৯৪
শরিয়াতের পথ ধরিয়া, মারিফাতে যাওয়া যায়।
শরিয়াত বিহনে তুমি, মারিফাত পাবে কোথায়।।
এক
শরিয়াতে জেনেছো যা, মারিফাতে ফল পাবে তা।
তা না হলে সব অযথা, ঢুঁড়ে দেখো দুনিয়ায়।।
দুই
শরিয়াতের ঝাণ্ডা তলে, ধর্ম বিধান দেয় রাসুলে।
সে বিধান মেনে সকলে, চলিছে দ্বীনের রাহায়।।
তিন
শরিয়াত মানে না যারা, দ্বীনের পথে নাই তাহারা।
তাই সেরু পাগলে ত্বরা, বলে শরিয়াতে আয়।।
রচনা- ০৭-১০-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ১৯৫
বাইয়াত হওয়ার বিধান পাও কোথায়।
এতো মোর কোরআনের কথা, শরিয়াত হইয়া যায়।।
এক
কোরআনের সূরা ফাতহাতে, লিখেছে তাঁর দশ আয়াতে।
সব মানুষকে বাইয়াত করতে, বলেছেন আমার আল্লাহ্ই।।
দুই
মুমতাহিনার বারো আয়াতে, বলেছে নারী বায়াত করতে।
নারী পুরুষ তাই বাইয়াতে, শরিয়াত বিধানে যায়।।
তিন
গুরু ভক্তের এহি বিধান, কোরআনে করে সমাধান।
শরিয়াতের দলিল কোরআন, বলতেছে সেরু পাগলায়।।
রচনা- ০৭-১০-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ১৯৬
মারিফাতো কাহাকে বলে।
কোন আনাছে তৈরি সে যে, কি রুহু কি মঞ্জিলে।।
এক
নফস তোমার কি নামে রয়, অজুদ তাহার কেমনো হয়।
মোকাম তাহার আছে নিশ্চয়, নামটি তাহার বলো খুলে।।
দুই
ঈমানের একিন হয় কি তাঁর, নামটি কি তাহার মক্কেলার।
রঙ স্বাদ কেমন হয় তোমার, জানাবে এই স্থলে।।
তিন
সেরু পাগলার এই বাসনা, মারিফাতকে আগে চেনা।
অনুমান কথা নেব না, প্রমাণ দাও তা দলিলে।।
রচনা- ২৬-১০-১৯৯৭ ইং সাল
গান নম্বর- ১৯৭
শরিয়াত হয় আদ্য মূলে, বলতেছি তাহার বিবরণ।
শরিয়াত বাদ দিয়ে তুমি, মারিফাতে যাবে কেমন।।
এক
দুম করে এক শব্দ পেলে, শতিয়াত ভাবো তাঁকে।
তরিকাত হয় শব্দ হেতু, জানিবার বাসনাকে।
জানার আসে দিলে রওয়ানা – তাকেই হকিকাত ভাবো না।
মারিফাতে গেলো জানা, ট্রান্সমিটার হইছে বিস্ফোরণ।।
দুই
রাস্তাতে এক কৌটা দেখলে, একেই ভাবো শরিয়াত।
কৌটায় কি জানার বাসনা, এটাই হলো তরিকাত।
জানার জন্য রওয়ানা দিলে – ইহাকেই হকিকাত বলে।
মারিফাত কয় যখন জানলে, ঐটা একটা ছিল যে বোম।।
তিন
এই ভাবেতে স্পর্শ, স্বাদ, আরও দেখো আছে ঘ্রাণ।
একই ভাবে বিচার করো, হিসাব করে ব্যবধান।
শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস, গন্ধ – সবই শরিয়াতে বন্ধ।
শরিয়াত বৈ মারিফাত অন্ধ, সেরু পাগলায় বলে এখন।।
রচনা- ০৮-১০-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ১৯৮
একশো তিরিশ ফরয কথা, করিতেছি বর্ণনা।
তায়াম্মুম তিন, গোসলে তিন, অজুতে রয় চারখানা।।
এক
পাঁচ ফরয পঞ্চ স্তম্ভে, চার ফরয হয় চার মাযহাবে।
চার কুরসিতে চার হয় যবে, তেরো আরকান আহকামা।।
দুই
নামাযেতে সতেরো রয়, তিরিশ রোযায় তিরিশটি হয়।
তিরিশ নিয়ত তিরিশ নিশ্চয়, ঈমানে হয় সাত গণা।।
তিন
পাঁচ নিয়তে পাঁচ ফরয হয়, পাঁচ ওয়াক্তে পঞ্চটি রয়।
শেষে তাই সেরু পাগলা কয়, এই একশো তিরিশ খানা।।
রচনা- ০৬-১২-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ১৯৯
ধর্ম করার নামে পূরায় মনের বাসনা।
ফকিরের স্বভাব ভালো না।।
এক
বাড়ি বাড়ি বেড়ায় সে ঘুরে।
একাকী নহে রে ঘরে বৌ সঙ্গে করে।
এর বৌ ওর বৌ পাশে নিয়ে, কাটায় রাতখানা।।
দুই
নারী পুরুষ সকলে মিলে।
হু আল্লাহু করে ঘরে যিকিরের ছলে।
এর গায়ে সে পড়ে ঢুলে, আশেক ছলনা।।
তিন
হুহু – হুহু নাচেরই তালে।
বোঝে না কখন যে নারীর কাপড় যায় খুলে।
ইশারায় দেখাইলে দেখায়, ছায়ার বাহানা।।
চার
শেষে ভেবে সেরু পাগলা কয়।
মজা লূটা হয় গো তাঁদের, ধর্ম করা নয়।
লজ্জা শরম নাইরে সমাজ, নষ্টের কামনা।।
রচনা- ১৮-১০-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ২০০
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।
ফকির তা করেছে ভঙ্গ।।
এক
মাথায় চুলের যটা যে আছে।
তাহারও মাঝেতে উকুন বাসা বেঁধেছে।
হাজার রঙের উকুন মাথায়, করতেছে রঙ্গ।।
দুই
মাসেও একদিন গোসল করে না।
ভালো মানুষ কখনোই তাঁর, কাছে ঘেঁষে না।
নোংরা আর মূর্খের দলেরা, করে তাঁর সঙ্গ।।
তিন
যে পোশাক সে পরিধান করে।
কাচে নাকো বোধ হয় সে, জীবনের তরে।
যেথায় বসে সেথায় ছড়ায়, শুধুই দুর্গন্ধ।।
চার
বাহিরে যার পরিস্কারো নাই।
ভিতরে তাহার পরিস্কার বলো কেমনে হয়।
সেরু পাগলা বলে ছাড়ো ফকিরের সঙ্গ।।
রচনা- ১৮-১০-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ২০১
আল্লাহ্র দিদার করে তারা গাঁজায় দম কষে।
ফকির রয় নেশারই বশে।।
এক
আচ্ছা রকম দম টেনে গাঁজায়।
নেশাতে আচ্ছন্ন থাকে বেশ কিছু সময়।
নিজেকে হালকা বোধ করে, নেশাতে ভেসে।।
দুই
ফকিরেরা নেশারই ঘোরে।
অনেক কিছুই নয়ন কোণে অনুভব করে।
একেই খোদার দিদার ভেবে, হারায় সে দিশে।।
তিন
নেশার ঘোরে রাস্তা দিয়ে যায়।
রাস্তা ছেড়ে এসে নিজেই থামে ধাক্কা খায়।
ভাবে থামটা কেমনে এলো রাস্তারই মাঝে।।
চার
ধাক্কা খেয়ে রাস্তায় পড়ে রয়।
ঝিমতে ঝিমতে ভাবে বুঝি খোদার দিদার হয়।
সেরু পাগলা বলে ফকির, রয় ভণ্ডের দেশে।।
রচনা- ১৮-১০-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ২০২
মারিফাতের নামায কেমন হয়।
দিনে কয়বার নামায আছে, কেমন করে পড়তে হয়।।
এক
কোন ওয়াক্তে কত রাকাত, কেমন তাহার ফরয সুন্নাত।
কেমনে পড়ো সূরা কেরাত, দলিল মতো জানতে চাই।।
দুই
সেই নামাযে নিয়ত কিবা, রাকাতে রয় কত সেজদা।
কোন দলিলে এর সত্যতা, রহিয়াছে বলো তাই।।
তিন
তোমার ঐ নামাযের বিধান, কিতাবে কি রয় বর্তমান।
নাকি তাহা হয় অনুমান, বলো করে সুনিশ্চয়।।
চার
যেই নামায মানব চরিত্র, করিতে পারে পবিত্র।
সেরু পাগলা কিঞ্চিৎ মাত্র, নামাযের ভেদ জানতে চাই।।
রচনা- ১৮-১০-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ২০৩
মারিফাতের রোজা হয় কেমন।
কোন মাসে তা আদায় করো, জানিতে চাহি এখন।।
এক
বৎসরে রোজা হয় কত, বলবে কথা দলিল মতো।
কি বলো রোজার নিয়তো, কি হলো ইফতার নিয়ম।।
দুই
বলো কেমন শবে কদর, কেমনে করো ঈদুল ফিতর।
ফিতরা দাও কিসেরই উপর, দাও তাহারই বিবরণ।।
তিন
ঈদুল আযহার কিবা বিধান, কেমনে করো পশু কোরবান।
কিতাবে রাখিয়া প্রমাণ, করিবে তাহার বর্ণন।।
চার
মারিফাতের আদ্যপান্ত, দলিল মতো সব বৃত্তান্ত।
সেরু পাগলা জানলে শান্ত, হবে তাই করাও শ্রবণ।।
রচনা- ১৮-১০-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ২০৪
দলিল পত্র নাইরে তাঁদের, ইচ্ছামতো কাম চালায়।
ধর্ম ছেড়ে অধর্মেতে, আলস্যে জীবন কাটায়।।
এক
শীত কালে ফযরের বেলা, অযু করা নয় কম ঠ্যালা।
তাইতে নামায ছেড়ে দিলা, বলতে কি মন লজ্জা পাও।।
দুই
শেষ রাতে সেহরি খেয়ে, সারাটা দিন উপোষ রয়ে।
সন্ধ্যে অবধি ক্ষিদে সয়ে, থাকাটি কম ব্যপার নয়।।
তিন
কষ্ট সওয়ার ধার ধারে না, নামায রোযা তাই করে না।
গোপন কর্ম হয় ছলনা, মিথ্যা বলে বাঁচতে চাই।।
চার
ছাড়ো ঐ সব ফন্দিবাজি, শরিয়াতে হয়ে রাজী।
হয়ে যাও রোযা নামাযী, বলতেছে সেরু পাগলায়।।
রচনা- ১৮-১০-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ২০৫
ঈমান দু-ভাগে বিভক্ত হয়।
মুযমাল আর মুফাসসাল নামে, ভবে তাঁদের পরিচয়।।
এক
সর্বনাম ও গুণ বিশিষ্ট, যে আল্লাহ্ই করিলো সৃষ্ট।
বিধি নিষেধ তাঁর আদিষ্ট, মানাকে মুযমালো কয়।।
দুই
ফেরেশতা, কিতাব সকলে, হাশর, কেয়ামত, রাসুলে।
জন্ম, মৃত্যু, বিচার মিলে, সবই মুফাসসালে রয়।।
তিন
যদি বিশ্বাস পারো আনতে, ঈমানদার কয় শরিয়াতে।
সেরু পাগলা বলে এতেই, শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।।
রচনা- ০৪-১১-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ২০৬
শরিয়াতে রয় পঞ্চ ব্যানা,
মারিফাতের ব্যানা বলো, রহিয়াছে কয়খানা।।
এক
কলেমাতে ঈমান আনি, নামায পড়ি দিবাযামি।
রমযানেতে রোযা মানি, দিলাম তাহার বর্ণনা।।
দুই
তোমার ধর্ম কি প্রকারে, পালন করো এই ভূধরে।
প্রকাশ করো ধীরে ধীরে, জানিতে মোর বাসনা।।
তিন
আমার নামায, রোযা আছে, তোমার বলো কি রয়েছে।
তোমার বিধান কে দিয়েছে, কি থেকে তা সূচনা।।
চার
পূর্ণ হাদিস পূর্ণ কোরআন, প্রকাশে শরিয়াত বিধান।
সেরু পাগলা তাই জানতে চান, মারিফাত আনে কোন জনা।।
রচনা- ০৩-০৩-২০০১ ইং সাল
গান নম্বর- ২০৭
এ কথা বলেছেন মোর আল্লাহ্।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ, মানুষ হোন রাসুলাল্লাহ।।
এক
হাদিসে বলেন রাসুলে, আশ-শরিয়াত আকওয়ালে।
শরিয়াত নিজ বাক্য বলে, প্রকাশেন হাবিবুল্লাহ।।
দুই
মারিফাত সম্বন্ধে কথা, রাসুলে বলেছেন কি-তা।
জানা থাকলে বলো হেথা, ওহে মারিফাত ওয়ালা।।
তিন
রাসুল মুখেই হাদিস কোরআন, শুনিয়াছে সব ধর্মপ্রাণ।
তাই এ দলিল শরিয়াত মান, ছাড়িয়া ছলাকলা।।
চার
দলিল তোমার হলে কোরআন, রাসুলে ইহারও প্রমাণ।
দিয়েছে কোথায় জানতে চান, অধীন এ সেরু পাগলা।।
রচনা- ০৩-০৩-২০০১ ইং সাল
গান নম্বর- ২০৮
অজুদ যদি দলিল হইবে।
কোন বস্তুর দলিল হয় তাহা, তাই তুমি বলো যবে।।
এক
জমিন থাকে মাঠে পড়ে, জীবগণে তাহা ভোগ করে।
দখল করে দখলদারে, দলিল ধরে এই ভবে।।
দুই
দখলকারী জমির পরে, ফসল তোলে আবাদ করে।
দলিল জমির লাভ নাহিরে, রহে দখলদার লাভে।।
তিন
অজুদ যদি দলিলই হয়, কোন বস্তুর দলিল জানতে চাই।
কে ভোগ দখল করে সেথায়, তাহা আজ শোনাইবে।।
চার
বলো অজুদ দলিল ধরে, কোন প্রজাতি ধর্ম করে।
সেরু পাগলা বিনয় করে, জানতে চাহিলো তবে।।
রচনা- ০৩-০৩-২০০১ ইং সাল
গান নম্বর- ২০৯
ফেকাহ সুন্নি দলিল ধরে, ধর্ম করে জীবগণে।
তোমার অজুদ দলিল দেখে, ধর্ম করে কোন জনে
এক
শুনি পঞ্চ অজুদ আছে, কি কি নামে রহিয়াছে।
কোন অজুদ হয় কোন আনাছে, খুলে বলো এই ক্ষণে।।
দুই
কোন অজুদ হয় দলিল কাহার, কোন অজুদে বসতী কার।
কোন বসতীর কিবা কারবার, কোন অজুদ কোন মোকামে।।
তিন
কোন অজুদের মক্কেল কে রে, কোন অজুদের একিন কিরে।
কোন অজুদ কোন রাহা ধরে, রয়েছে বর্তমানে।।
চার
কোন অজুদ হয় কোন মঞ্জিলে, জানতে চাই সেরু পাগলে।
ধীরে ধীরে বলো খুলে, শান্তি পায় তা শ্রবণে।।
রচনা- ০৩-০৩-২০০১ ইং সাল
গান নম্বর- ২১০
ভ্রান্ত তোমার এহি ধারণা।
মানুষ দলিল মান্যকারী, তাঁকে দলিল ভেবো না।
এক
কোরআনেতে লেখা যবে, মানুষ দলিল মেনে চলবে।
সেই মানুষকে দলিল ভেবে, ধরায় মূর্খ সেজো না।।
দুই
অজুদ হয় জীবনের আধার, স্রষ্টা সৃষ্টি করলো সবার।
জীব জগতে ধর্ম কারবার, জানাইতে দলিল খানা।।
তিন
পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা, কিতাবে করেছে ব্যাখ্যা।
দলিল নামে তাই তা আখ্যা, স্রষ্টার নিজের বর্ণনা।।
চার
শ্রেষ্ঠ মানুষ দলিল নয়রে, তাঁর জন্যই দলিল ভূধরে।
মানুষ দলিলের উপরে, সেরু পাগলার এই ব্যানা।।
রচনা- ০৩-০৩-২০০১ ইং সাল
গান নম্বর- ২১১
কোরআনেতে লেখা যবে, কেমনে অযু করতে হবে,
ছয় আয়াতে সূরা মায়েদার।
পাগল মন আমার, সেই অযু কি হয়েছে তোমার।।
এক
নামাযের প্রয়োজন হলে, পানি দাও মুখমণ্ডলে।
হাত ধুয়ে নাও কনুই বরাবর।
মাথাটা মাসেহ করো, তারপরে পা ধৌত করো।
গিঁঠ পর্যন্ত হিসাবো তাহার।।
দুই
পায়খানা প্রস্রাবের পরে, আবার অযু দরকার পড়ে।
সহবাস পর গোসল হয় দরকার।
নিকটে পানি না পেলে, পাক মাটিতেই তাহা চলে।
তাহাম্মুম নামেতে তা প্রচার।।
তিন
কোন আইনে মারিফাত করো, কেমনে তুমি নামায পড়ো।
কেমন তোমার অজু সমাচার।
অজুর বিধান কোথায় পেলে, জানতে চাই সেরু পাগলে।
অজু ছাড়া নামাজ বেকারার।।
রচনা- ২৬-০৫-২০০১ ইং সাল
গান নম্বর- ২১২
দিলে আল্লাহ্র বিশ্বাস রেখে, নামায, রোযা করে যায়।
তাতেই রাজী আমার দয়াময়।।
এক
না দেখে বিশ্বাস করেছি, না জেনেই ঈমান এনেছি।
না চিনেই স্রষ্টা মেনেছি, আর কিছু মোর দরকার নাই।।
দুই
তাহার আদেশ পড়ো নামায, ইহাই মোর শরিয়াতের কাজ।
নামায বিনে প্রভু নারাজ, তাই নামায ছাড়তে না চাই।।
তিন
নামায, রোযা, হজ্জ আর যাকাত, তাই পালনেই পাবে নাযাত।
সর্বদা তাই এই এবাদাত, করতে কয় সেরু পাগলায়।।
রচনা- ২৬-০৬-২০০২ ইং সাল
গান নম্বর- ২১৩
দেখিয়া বন্দেগী করো, তাই তোমায় আমি শুধায়।
স্রষ্টার চেহারা বলো কেমন হয়।।
এক
তারে তুমি কোথায় বলো, দেখেছিলে কোন সময়।
কীভাবে তাঁর দেখা পেলে, তাই তুমি বলো আমায়, গো-
তাই তুমি বলো আমায়।
পুরুষ কি প্রকৃতি বলো, জানতে মোর বাসনা হয়।।
দুই
সাক্ষাতেরই কালে বলো, কি কথা হয়েছিলো।
জীব তরাতে সৃষ্টি কর্তায়, নতুন কি বলেছিলো, গো-
নতুন কি বলেছিলো।
সে কথা আর কোরআন কথা, কোনটা বলো সত্য হয়।।
তিন
যদি তুমি দেখে থাকো, সত্য করে বলো ভাই।
অঙ্গে পোশাক ছিলো কি না, তাই তুমি বলো আমায়, গো-
তাই তুমি বলো আমায়।
সে পোশাক কিসেরো তৈরি, জানতে চাই সেরু পাগলায়।।
রচনা- ২৬-০৫-২০০২ ইং সাল
গান নম্বর- ২১৪
বুড়ি পথে কাঁটা দিত।
যে পথে দ্বিনেরও নবী, সদা যাতায়াত করিত।।
এক
নিত্ত নবীর কোমল পদে, বুড়ির দেওয়া কাঁটা বিঁধে।
তাই দেখে বুড়ি আনন্দে, দূর থেকে করিত নৃত্য।।
দুই
গত হলে বেশ কিছুদিন, নবী পথ দেখে কাঁটাহীন।
দুশ্চিন্তায় পড়ে আলামিন, বুড়ির বাড়ি হয় উদ্যত।।
তিন
নবী যখন পৌঁছে বাড়ি, শুয়েছিলো সেই সে বুড়ি।
শুধায় নবী বিনয় করি, মা তোমার শরীর ভালো তো।।
চার
কেঁদে বুড়ি হয় জারে জার, বলে সাত দিন অসুখ আমার।
নবী বলে কেঁদো না আর, করবো সেবা লাগে যতো।।
পাঁচ
সেবাই বুড়ি সুস্থ হলো, অমনি ইসলাম গ্রহণ করলো।
তাই সেরু পাগলা বলিলো, হও রে মন সেই নবীর মতো।।
রচনা- ১৩-০৯-২০০২ ইং সাল
গান নম্বর- ২১৫
নামায বেহেশতেরো চাবি হয়।
আসসালাতু মিফতাহুল জান্নাত, রাসুলে হাদিসে কয়।।
এক
থাকলে বেহেশতের বাসনা, নামাযে ক্বাযা করো না।
বলেছেন বিশ্ব রাব্বানা, মানো ভেবে সুনিশ্চয়।।
দুই
চাবি যদি থাকে হাতে, ভয় কিসের তাঁর ঘরে যেতে।
খুলবে সে ঘর ইচ্ছা মতে, না রবে কারো অপেক্ষায়।।
তিন
তাইতে বলি ত্বরা করে, পড়ো নামায এই ভূধরে।
সেরু পাগলা বিনয় করে, এ কথা তোমারে কয়।।
রচনা- ১০-০৬-২০০৩ ইং সাল
গান নম্বর- ২১৬
দলিল কভু ধর্ম করে না।
দলিল দেখে ধর্ম করে, এ জগতে সবজনা।।
এক
তোমার দেহ দলিল হলে, কি লেখা রয় সেই দলিলে।
ধীরে ধীরে বলো খুলে, নয়লে তোমায় ছাড়ছি না।।
দুই
ঐ দলিলে কি বিধান রয়, কেমনে পালন করতে হয়।
এ কথাটি জানিতে চাই, বলো তুমি এখোনা।।
তিন
তোমার দেহ দলিল ধরে, এ ভবে কে ধর্ম করে।
সেরু পাগলা কয় তোমারে, জানাও এ সকল ব্যানা।।
রচনা- ১০-০৬-২০০৩ ইং সাল
গান নম্বর- ২১৭
সবে বলে সাধু সঙ্গ, শুনে জীবে রঙ্গময়।।
দেহের কোন অঙ্গ বলো, সাধু থাকে সর্বময়।।
এক
যে অঙ্গের সঙ্গ করিলে, সাধু সঙ্গ কয় সকলে।
সে অঙ্গ রয় কোন স্থলে, কোন অঙ্গে তা বর্ত্ম রয়।।
দুই
শুনি স্পর্শে সাধু চরণ, লোহা সোনায় পরিবর্তন।
কেমন হয় স্পর্শ করণ, কার দ্বারা সমাধা হয়।।
তিন
মনে আশা সাধু সঙ্গে, নেবো পরশ অঙ্গে অঙ্গে।
ভবেরই এই কাল ভুজঙ্গে, স্পর্শে অজুদ বিষময়।।
চার
তুমি হও ব্রহ্মাণ্ড হরি, কয় অঙ্গ এক অঙ্গ পরি।
হীন মন সেরু পাগলারী, দাও হে অঙ্গ পরিচয়।।
রচনা-৩১-০১-২০০৪ ইং সাল
মারিফাত
গান নম্বর- ২১৮
শরিয়াত কাহাকে বলে।
কোন আনাছে তৈরি সে হয়, কি রূহু কোন মঞ্জিলে।।
এক
বলো নফসের নাম কিবা হয়, মোকামটি তাঁহারই কোথায়।
অজুদটি তাঁর কি নামে রয়, চালনা হয় কোন মক্কেলে।।
দুই
কি তার ঈমানের একিনটি, বলো তাঁহার কেমন রঙটি।
বলো তাঁর স্বাদের কথাটি, থাকে বলো সে কোন হালে।।
তিন
শরিয়াত হয় কোন ভাষাতে, কি অর্থ তাঁর হয় বাংলাতে।
সেরু পাগলা চাই জানিতে, কাটে তাঁর ভ্রম জানিলে।।
রচনা- ৩১-০৮-১৯৯৭ ইং সাল
গান নম্বর- ২১৯
শরিয়াতের রূহু হাইয়ানি।
হাইয়ান অর্থ পশু যে হয়, দলিল থেকে তাই জানি।।
এক
হইতে আতশ আনাছের, উৎপত্তি হয় শরিয়াতের।
এ কথা হলো তালিমের, তালিম তো আমরা মানি।।
দুই
আনাছের আতশের কর্ম, হয় কতো বলো তাঁর মর্ম।
কলব আতশের কতো কর্ম, বলো আমায় তাই শুনি।।
তিন
রূহু হাইয়ানীর ফেয়েল কতো, বলো তুমি দলিল মতো।
সেরু পাগলা বলে সত্য, জানিয়ে ঘুচাও ভ্রমী।।
রচনা- ১৩-০৮-১৯৯৭ ইং সাল
গান নম্বর- ২২০
শরিয়াতের নফসো আম্মারা।
বলো নফসো আম্মারারি, কয়টি হয় কর্ম ধারা।।
এক
অজুদ তোমার হয় মোমকেনাল, বলো তাঁহার কি রূপো হাল।
কয় ফেলে রহে মোমকেনাল, কি নামে সে হয় গড়া।।
দুই
শরিয়াতের কর্ম কতো, বলো যদি জানো সত্য।
কি নামে সে আছে নিত্ত, কোনখানে ঘোরাফেরা।।
তিন
মঞ্জিল মোকাম কোথা বলো, সুরাতে সে কি হইলো।
জানতে চাই সেরু পাগলো, তা নইলে পাগলপারা।।
রচনা- ০১-০৯-১৯৯৭ ইং সাল
গান নম্বর- ২২১
কেমনে তুমি হলে মাওলানা।
হচ্ছে মনে হাদিস কোরআন, কিছুই তুমি বুঝো না।।
এক
হাদিসেতে আছে লেখা, হয়নি বুঝি তোমার দেখা।
তাইতো তুমি বলছো হেথা, মারিফাত নবীর ধর্ম না।।
দুই
আশ শরিয়াত আকওয়ালি, শরিয়াত হয় বাক্যগুলি।
আত তরিকাত আফওয়ালি, তরিকত আমার কর্মা।।
তিন
আল হকিকাত আহওয়ালি, হকিকতকে উচ্ছ্বাস বলি।
আল মারিফাত এসরারি, মারিফাত আমার মূলধনা।।
চার
যাহার বাক্য শরিয়াতো, মারিফাত তাঁহার নিগুঢ় তত্ত্ব।
সেরু পাগলার নয় এ তথ্য, নবীর মুখের ফরমানা।।
রচনা- ০২-০৯-১৯৯৭ ইং সাল
গান নম্বর- ২২২
অজুদে মসজিদ মেহরাব, আছে শোন কে কোথা।
না চিনে মসজিদ মেহরাব, কোন জায়গায় দিচ্ছো সেজদা।।
এক
অজুদে মসজিদ পেশানি, (সেথায়) নামায পড়ো দিবাযামি।
দূর হইবে মনের ভ্রমী, বকবে না আর অযথা।
চিনে মসজিদ পড়লে নামায, দূর হবে মনের মিথ্যা।।
দুই
অজুদে মেহরাব সিনা, পহেলা দরকার একে চিনা।
মসজিদের মিম্বর হইলো, তোমার অজুদের মাথা।
না জেনে ইহারো ব্যানা, দাও কেন সেজদা অন্যথা।।
তিন
কয় সেরু পাগলা এখানে, চেরাগ হয় তোর দুই নয়নে।
নয়ন ছাড়া ত্রিভুবনে, অন্ধকার যথা তথা।
এই মসজিদে পড়াও নামায, দাও তুমি সেজদা হেথা।।
রচনা- ০২-০১-১৯৯৫ ইং সাল
গান নম্বর- ২২৩
তুই ফাঁকি দিলি লোক সমাজে, আল্লাহ্কে ও ছাড়লি না।
টুপি দাড়ির মান রাখলি না, ওরে শোনরে মুসল্লিগণা।।
এক
সূফী পোশাক গায়ে পরিলি, সমাজে সূফী সাজিলি,
(সূফী) মুখে বৈ তো কাজে পাইলাম না।
ও তুই বুঝে দেখ মন কি করিলি, নিজেই কি ফাঁকে পড়লি না।।
দুই
ও তুই দাঁড়াইলি নামাযেতে, কি পড়তে হয় কোন জায়গাতে।
ইচ্ছা করে তাহা শিখিলি না।
মিছামিছি মুখ নাড়িলি, সূরা কেরাত পড়লি না।।
তিন
যৌবনে মানুষ ঠকালি, বৃদ্ধে আল্লাহ্কে না ছাড়িলি।
ভাবছো আল্লাহ্ কিছুই বোঝে না।
আল্লাহ্ মনের খবর রাখে তোমার, হাশরেতে ছাড়বে না।।
চার
মিথ্যা মুখ নাড়ে বাবাজী, সমাজে সাজে নামাজী।
কি রূপ ফাঁকি দিচ্ছে তাই দেখো না।
সামসুদ্দিন কয় পাগলা সেরু, এরূপ ফাঁকে পড়ো না।।
রচনা- ০৫-০১-১৯৯৫ ইং সাল
গান নম্বর- ২২৪
আমি শুধায় কতজনে, নামাযেরো মানে।
সিজদার অর্থ কি তাই খুলে বলো না।
অজুর কি কারণ হয়, কেনো সূরা পড়তে হয়।
রুকুরো কিবা কারণ, আমায় জানাও না।।
এক
তুমি অজু যখন করিলে, বায়ু সরে গেলে।
আবার অজু কেনো করো আমায় বলো না।
তোমার কোন অঙ্গ হইলো নাপাক – কোন অঙ্গ করিলে সাফ।
আসল থুইয়া নকল হইলো টানা।।
দুই
একশো বাষট্টি আয়াত সূরা আনআম, পড়ে দেখো ঐ কোরআন।
কি বলেছে তোমার আপে রাব্বানা।
আবার দরুদে ইব্রাহীমে – কি বলো সব জবানে।
মানো না যাহা বলো, তাঁহার এক কণা।।
তিন
এবার আসল জায়গায় আনি, মুসলমানের পিতা যিনি।
কোন সূরায় নামায তিনি পড়তো বলো না।
তুমি ফাতিহা কোথায় পেলে – কয় সেরু পাগলে।
(নইলে) সামসুদ্দিনের আদেশ বিনা, তোমায় ছাড়ছি না।।
রচনা- ৩১-০৭-১৯৯৩ ইং সাল
গান নম্বর- ২২৫
নামাযে হয় চাওয়া পাওয়া, না পাইলে অকারণ।
নামাযে হয় চক্ষু শীতল, পেয়ে প্রভুর দরশন।।
এক
নামাযে যখন দাঁড়াবে, প্রভুর প্রশংসা করিবে।
তাই ফাতিহা পাঠ করিবে, রাখতে খুশি প্রভুর মন।
আত্মাহিয়াতুরো মাঝে, করো আত্ম নিবেদন।।
দুই
অজুদে যা অভাব আছে, জানাও তুমি প্রভুর কাছে।
প্রভুর যদি হয় গো ইচ্ছে, ভরাইবে তোমার মন।
মোনাজাতে চুমা খাবে, করিলে অভাব পূরণ।।
তিন
নামাযেতে দাঁড়াইয়া, সামনে প্রভু না দেখিয়া।
সূরা কেরাত যাও পড়িয়া, কে শোনে তোমার কথন।
কি চাহিলে কি পাহিলে, কেনো খাইলে চুম্বন।।
চার
লোক দেখা বন্দেগী ছেড়ে, হও দাখিল মারফত ভিতরে।
প্রভুতে পরিচয় করে, হয়ে যাও তাঁর আপনজন।
সেরু পাগলা তাইতে ভবে, সার করে গুরু চরণ।।
রচনা- ১৩-১২-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ২২৬
মহররমের দশ তারিখে, হোসেন খুন হইলো যখন।
বারোই রবিউল আওয়ালে, মহানবীর আগমন।।
এক
ছাব্বিশে রজ্জব আসিলে, আল্লাহ্ মোহাম্মাদে মিলে।
মেরাজ করে দিলে দিলে, হয় দুজনার দরশন।
তখন হয় আত্মাহিয়াতু, নবীর আত্ম নিবেদন।।
দুই
আত্ম নিবেদন শুনিয়া, তিন রাকাত সালাত আনিয়া।
ওয়াজেবল নাম ধরিয়া, মোহাম্মদে হয় অর্পণ।
পনেরোই শাবানে প্রভু, করেছে ভাগ্য বণ্টন।।
তিন
পাঁচ ওয়াক্তে পঞ্চজনা, করিতেছে আরাধনা।
চোখ থাকিতে তাও দেখো না, রয়েছো অন্ধের মতোন।
পঞ্চ মক্কেল পাঁচ অজুদে, করছে সালাত সারাক্ষণ।।
চার
তিন রাকাতের আদ্য মর্ম, জানিলে পূর্ণ তাঁর ধর্ম।
লোক দেখানো ও সব কর্ম, করে না সে আর তখন।
সেরু পাগলা কয় এ কথা, গুরুতে করো শ্রবণ।।
রচনা- ১৩-১২-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ২২৭
কি আঘাত পাইয়ারে মন, হারাইলে স্মৃতি শক্তি।
শত্রু সনে ঘর করিছো, ছাড়িয়া আপন সাথি।।
এক
প্রথমো সৃষ্টিরো কালে, অঙ্গীকার করিয়াছিলে।
রবে না প্রভুরে ভুলে, রাসুলকে করবে ভক্তি।
নবীর নবধন হইবে, তোমার রথের সারথি।।
দুই
কোথা হতে কোন আঘাতে, রাসুলকে হারালে পথে।
নবধনকে ভেবে মিথ্যে, বাড়াইলে কামাসক্তি।
ভাবছো মনে ঠিকই আছি, মূলে তোমার নাই স্মৃতি।।
তিন
দীক্ষা গুরুর কাছে যাবে, পরম গুরুর আঘাত পাবে।
পূর্ব স্মৃতি ফিরে আসবে, দূর হইবে ভীমরতি।
সেদিন রাসুল বাক্য মেনে, নবীই করবে পিরিতি।।
চার
সেরু পাগলা করে হায় হায়, জনম বুঝি গেলো বৃথায়।
শেষকালে পেয়ে গুরু ঠাই, স্মৃতি ফিরেই হয় ভীতি।
স্বল্প সময় হাতে এখন, কেমনে পাবো মুক্তি।।
রচনা- ১৩-১২-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ২২৮
তুমি সেজদা দিলে যেই মাটিতে, সেই মাটিতে আল্লাহ্ নাই।
মোমিনের কালেবে আল্লাহ্, বিরাজিত সর্বদায়।।
এক
সালাতু মেরাজুল মোমিন, নামাযে পায় খোদারই চিন।
তাইতে পৌঁছাও হক্কোল একিন, না হলে সবই বৃথায়।।
দুই
কুলুবুল মোমিন আরশাল্লাহ, কালেবে রয় খোদা তায়ালা।
কাছে রেখে না চিনিলা, সিজদা দিলে অন্যথায়।।
তিন
তাইতে বলি ত্বরা করে, দাখিল হও মারফত ভিতরে।
কাদিম সেজদা প্রভুর তরে, বুঝো কোন নামাযে পায়।।
চার
বুঝে লও সাধন ও ভজন, লও চিনে সেজদারই আসন।
সেরু পাগলা কয় অকারণ, যেও না মাটি সেজদায়।।
রচনা- ১৯-১২-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ২২৯
শরিয়াত কাহাকে বলা হয়।
শরিয়াত বলিতে রাসুল, কি দিয়াছেন পরিচয়।।
এক
শরিয়াতের বিধান কিবা, জানিলে তাহা বলিবা।
দেখতে দেখতে গেলো দিবা, জানা কিছুই হলো না।।
দুই
শরিয়াত কোথায় স্থিতি, প্রকৃতিস্থ না প্রকৃতি।
কি থেকে তাহা উৎপত্তি, বলো করে সুনিশ্চয়।।
তিন
এই শরিয়াত বর্ত্মে কোথা, কি প্রকারে এলো হেথা।
সত্য বলো নহে মিথ্যা, সেরু পাগলা জানতে চাই।।
রচনা- ০১-০৬-১৯৯৮ ইং সাল
গান নম্বর- ২৩০
রাসুলে বলেছেন এ কথা।
আশ শরিয়াত আকওয়ালি, দলিলে রয়েছে তা।।
এক
রাসুলে বলেছে নিশ্চয়, শরিয়াত আমার বাক্য হয়।
রাসুল বাক্য হাদিস নিশ্চয়, কোরআন হয় আল্লাহ্র কথা।।
দুই
আল মারিফাত এছরারি, দলিলে পরিচয় তাঁরি।
দিছে রাসুল সত্য করি, মারিফাত নিগুঢ় তত্ত্বা।।
তিন
নিগুঢ় তত্ত্ব আল্লাহ্র বাণী, যা হইলো কোরআন খানি।
কোরআন হয় মারফতের খনি, সেরু পাগলায় বলছে তা।।
রচনা- ১৫-০৮-১৯৯৮ ইং সাল
গান নম্বর- ২৩১
নাড়ার ফকির বলছো আমারে।
জানিলে না ফকির কি ধন, নাড়া কি তা চিনলি নারে।।
এক
ফকির নাম হয় চার অক্ষরে, তাহলো ফে, কাফ, ইয়া, রে।
ফকিরের মর্তবা কিরে, জানো মন মুর্শিদ ধরে।।
দুই
ফে অর্থ হয় ফাকাবাদান, হয় কিয়ামত কাফেরই মান।
ইয়াদ আল্লাহ্ ইয়ার অর্থ জান, রে অর্থ রেয়াযাত রে।।
তিন
কলেমা তৈয়ব চব্বিশ অক্ষর, নাই তাতে নুক্তারই খবর।
নহে নুক্তা নাড়া অক্ষর, পড়ে দেখো কলেমাটিরে।।
চার
নাই মাবুদ এক আল্লাহ্ ছাড়া, সামসুদ্দিন কয় ইহাই নাড়া।
সেরু পাগলা কলেমা ছাড়া, আর কিছু বোঝে না রে।।
রচনা- ১৮-১২-১৯৯৪ ইং সাল
গান নম্বর- ২৩২
ভিক্ষা দাও মা দয়া করে।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, শুধু এই কলেমাটিরে।।
এক
ধান চাউল চাইনা গো আমি, অর্থ সম্পদ দিও না তুমি।
দয়া করে দাও মা তুমি, বারি রূপে হৃদয় পুরে।।
দুই
সম্পদ অর্থের কি আছে দাম, দাও মুখে ঐ আল্লাহ্র কালাম।
যাক দূরে দেহের এই বদনাম, তোমার ঐ কলেমার জোরে।।
তিন
মা তোমার কলেমার আশায়, দ্বারে খাড়া হয়েছি তাই
দোহায় মা ফিরাসনে আমায়, ব্যাথা দিয়ে এ অন্তরে।।
চার
আমি কার কাছে বলিবো কথা, (আমার) মুখ দেখে কে বুঝবে ব্যাথা।
এমনও দরদী হেথা, সেরু পাগলায় পেলো না রে।।
রচনা- ০৮-১২-১৯৯৪ ইং সাল
গান নম্বর- ২৩৩
নাড়ার ফকির আমরা সবাই।
ঘৃণা করো নাড়া বলে, নাড়া কি তা বোঝোনি তাই।।
এক
কলেমা তাইয়েবা পড়ো, চব্বিশ অক্ষর তাঁর ভিতরো।
নাই এতে নুক্তার খবরো, নাড়া অক্ষর এই কলেমায়।।
দুই
নাই মাবুদ এক আল্লাহ্ ছাড়া, দেখো পড়ে এর অক্ষর নাড়া।
মানে না ফকির ইহা ছাড়া, বিশ্বাস রাখে রাসুলাল্লাহই।।
তিন
কলেমা যারা পড়ে না, একমাত্র তারাই নাড়া না।
মুসলমান নাড়া ছাড়া না, নাড়া পড়েই মুসলমান হয়।।
চার
নাড়া বোঝো নাড়া খোঁজো, মুক্তির আশায় নাড়া ভজো।
তাই তো সেরু পাগলা আজো, পড়ে রয়েছে গুরু ঠাই।।
রচনা- ২৮-১২-১৯৯৪ ইং সাল
গান নম্বর- ২৩৪
ঐ কলেমার ভিখারি আমি।
তাইতে তোমরা নাড়া বলো, ফকির বলো দিবাযামি।।
এক
শোন রে ও মোল্লা ভাই, কলেমা বিনে গতি নাই।
মুখে কলেমা বলছো সদায়, গুপ্ত ভেদ এর বোঝোনি।।
দুই
জানতে যদি এর হকিকত, নাড়ার ফকির হতে তাবৎ।
গাহিতে না নাড়ার গীবৎ, অজুদ তোমার হতো নূরানি।।
তিন
কলেমার হরফ হয় নাড়া, পড়িলে দূর হয় বেয়াড়া।
দলিল প্রমাণ কলেমা ছাড়া, মুক্তির আশা বৃথা জানি।।
চার
সেরু পাগলা কয় কলেমা নাড়া, পড়িলে অজুদ হয় নাড়া।
দূর হয় স্বভাব ছন্নছাড়া, জীবের দূর হয় সব শয়তানী।।
রচনা- ১৯-১২-১৯৯৪ ইং সাল
গান নম্বর- ২৩৫
তোমরা কেন নাড়া হলে না।
নাড়ায় শান্তি নাড়ায় মুক্তি, করো নাড়ার উপাসনা।।
এক
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, পড়ার পরে ফানাফিল্লাহ।
হইতে পারবে ইনশাআল্লাহ্, কোরআনে রয় বর্ণনা।।
দুই
কলেমার হরফ নাড়া কেন, এর গুপ্তভেদ আগে জানো।
লা শারিকা নাড়া জেনো, নাড়ায় দূর হয় মনের দুনা।।
তিন
যে হতে পেরেছে নাড়া, শয়তান তাঁকে দেয়না তাড়া।
রহেনা সে আর বেয়াড়া, ফাঁড়া আর তাঁহার থাকে না।।
চার
সেরু পাগলা বলে তুমি, নাড়াকে ছেড়ো না ভ্রমী।
ভজো নাড়া দিবাযামী, অশান্তি তোমার রবে না।।
রচনা- ১৯-১২-১৯৯৪ ইং সাল
গান নম্বর- ২৩৬
মারিফাত বিহনে দেখো, শরিয়াত হয় মূল্যহীন।
মারফতের জন্য শরিয়াত, তাই মারিফাত আগে চিন।।
এক
হয় শরিয়াত ভাণ্ডেরো রূপ, মারিফাত ভাণ্ডের ধন স্বরূপ।
মারিফাত বিনে শরিয়াত চুপ, হয় মারিফাত আল্লাহ্রো দ্বীন।।
দুই
জীবের জন্য খাদ্য হয়রে, খাদ্যের জন্য জীব তো নয়রে।
মারিফাত হেতু শরিয়াত রে, শরিয়াতে মারফতের বীণ।।
তিন
আমার জন্য তোমার জন্ম, তুমি মুর্দা আমি ভিন্ন।
আমি বিশ্বে রূপ অনন্য, তাই মারফতে হও বিলীন।।
চার
সেরু পাগলা কয় স্রষ্টার কাছে, মারিফাত গচ্ছিত আছে।
তাই শরিয়াত মারিফাত যাচে, স্রষ্টাতে হইয়া লীন।।
রচনা- ২৮-০৯-১৯৯৭ ইং সাল
গান নম্বর- ২৩৭
আনাছের বাদেতে তৈরি, রুহু আমার ইনসানি।
অহেদাল অজুদ হয় আমার, নফসো মোর মোৎমাইন্নি।।
এক
রাহা যাহার হয় মারিফাত, খাট্টা তাঁহার হয়রে লজ্জত।
মঞ্জিলে সে হচ্ছে লাহুত, হক্কোল একিন ঈমানি।।
দুই
ইস্রাফিল মক্কেল হয় আমার, রঙটি দেখো সবুজ তাঁহার।
আছে দেখো মোকাম আবার, নামটি তাঁহার আওদানি।।
তিন
দলিলেতে আছে প্রমাণ, নবীজির রাহা হয় চার খান।
চার তরীকা চৈদ্দ খানদান, সবই নবীর হয় জানি।।
চার
এই হইলো মারফত পরিচয়, দিলাম তা করে সুনিশ্চয়।
সেরু পাগলা তাই ভেবে কয়, মারফতে এসো তুমি।।
রচনা- ২৬-১০-১৯৯৭ ইং সাল
গান নম্বর- ২৩৮
নামায হয় বেহেশতের কুঞ্জি, এর গুপ্ত ভেদ জানো মন।
লাম তালা আলিফ হয় চাবি, মীমে রয় বেহেশতী ধন।।
এক
লাম তালায় তোর আলিফ চাবি, যখনে প্রবেশ করাবি।
লামালিফ ইহাকেই জানবি, তালায় চাবি যায় যখন।।
দুই
তালায় চাবির মুড়ামুড়ি, বিসমিল্লাহ্র হয় দৌড়াদৌড়ি।
নুকতা রূপে সরাসরি, আরাফে করে গমন।।
তিন
আরাফে নুকতার আবির্ভাব, নামায ছাড়া হয় না এ ভাব।
নামাযে হয় শুদ্ধ স্বভাব, নামাযই জীবন মরণ।।
চার
আরাফবাসীর প্রত্যাগমন, মীমের দুয়ার খোলে তখন।
কয় সামসুদ্দিন ঐ স্বর্গধন, সেরু পাগলার তাই দর্শন।।
রচনা- ২০-১০-১৯৯৪ ইং সাল
গান নম্বর- ২৩৯
মীমের দুয়ার খোলো রে মন।
মীম ঘরে স্বরূপ নগরে, আছে বারি রূপে অমূল্য ধন।।
এক
মীম দুয়ারের তালাটি লাম, আছে উহা বিধিরো বাম।
মোকামে কাম করে অকাম, ছড়ায় সে শুধুই বদনাম।
দাম হারিয়ে করে বেদাম, লামেতে হয় জীবের মরণ।।
দুই
আলিফ হয় লামের চাবি, তালায় যেই চাবি ঢুকাবি।
লামালিফ ইহাকেই জানবি, কিয়ামত ইহাকেই মানবি।
হেথায় জীবের মরার পরে, ফেরত পায় সে নব জনম।।
তিন
নব জনম ফেরত পেলে, কলেমার আবির্ভাব মেলে।
আরশের কলেমা দ্বাদশ দলে, ঝরে সদা রূপ স্বজলে।
এই কলেমা গ্রহণ করলে, সেরু পাগলার বাঁচে মরণ।।
রচনা- ১৩-২০-১৯৯৪ ইং সাল
গান নম্বর- ২৪০
এ সকলো মীমের খেলা।
লাম বলো আলিফ বলো, সকলি হয় মীমের চ্যালা।।
এক
ঐ মীম মিন হয়ে, লাম সাগর দেয় ভাসায়ে।
ঐ মীম আলিফে গিয়ে, করে গো ছলাকলা।।
দুই
ঐ মীম আদমের দম, ঐ মীম আদমের যম।
জাতেতে জাত পড়িলে কম, সেফাতের ডুবে যায় বেলা।।
তিন
মীম দম মীম দমের আহার, আরাফাতে স্বাদ পেয়েছো তাঁহার।
জীব সর্বস্ব তাঁহার, সে বিনে ভেঙ্গে যায় খেলা।।
চার
করো মীম উপাসনা, মীমে করো আম্মারা ফানা।
সামসুদ্দিন কয় মীমের ব্যানা, চিনে নাওরে সেরু পাগলা।।
রচনা- ১৩-১০-১৯৯৪ ইং সাল
গান নম্বর- ২৪১
ঐ নামাযের গুল্লি মারি।
যেই নামাযে হয় না দিদার, ওহে মোল্লা গুনধারী।।
এক
নামাযেতে মেরাজ হবে, হাদিসেতে লেখা যবে।
এই নামাযে কেবা কবে, দেখা পেলো স্রষ্টারী।।
দুই
মসজিদের ঐ বারান্দাতে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযেতে।
মাথা ঠুকিতে ঠুকিতে, কালো করো কপালটারী।।
তিন
যে কপাল নূরের চেহারা, হবে দেয় কোরআন ইশারা।
কি বন্দেগী করলি তোরা, নূর বাদে কালির দিশারী।।
চার
যেই নামাযে প্রভুর সাক্ষাৎ, চেয়ে নিতে পারবে নাযাত।
সেই নামাযে দাও প্রণিপাত, বচন সেরু পাগলারী।।
রচনা- ০৩-১১-১৯৯৮ ইং সাল
গান নম্বর- ২৪২
নামায তোমার সহি হবে না।
হুজুরি দেল ব্যতিরেকে, নামায তুমি পোড়ো না।।
এক
হুজুরি লাভ করিতে মন, তৌবা, তসলিম করো পালন।
শোকর, এনাবতে যাজন, লাগে যোহদ ভজনা।।
দুই
তাওয়াক্কাল, রেদা ও সবর, অরা, কানাযাতের উপর।
সর্বদা রাখিবে নযর, জানো দশ চিজের ব্যানা।।
তিন
করলে কোসেস মোরাকাবায়, হাসেল হবে বেলায়েত সোগরায়।
এরপরে নামায পড়া চাই, নইলে নামায হবে না।।
চার
দশ চিজ ঠিক না হলে পরে, লাভ হবে না নামায পড়ে।
সেরু পাগলা তাই তোমারে, বলে দশে হও ফানা।।
রচনা- ০৩-১১-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ২৪৩
শ্বাস বায়ুর বহির্গত মান।
স্বাভাবিক দ্বাদশ আঙ্গুলি, বহির্গতির পরিমাণ।।
এক
ষোড়শ আঙ্গুল যায় গায়নে, বিংশতি যায় ঐ ভোজনে।
চতুর্বিংশ পথ গমনে, নিদ্রায় ত্রিংশতি সমান।।
দুই
ষট ত্রিংশত যায় মৈথুনে, ইহার অধিক যায় ব্যায়ামে।
আয়ু বৃদ্ধি দ্বাদশ নুন্যে, অধিকে ক্ষয় হবে প্রাণ।।
তিন
প্রাণ বায়ু দেহে থাকিতে, মৃত্যু হয় না কোন মতে।
সেরু পাগলা পায় জানিতে, বায়ুই করে জীবন দান।।
রচনা- ১৭-১১-১৯৯৭ ইং সাল
গান নম্বর- ২৪৪
প্রাইমারী কি বুঝতে পারে, উচ্চ শিক্ষা বলে কারে।
কেমন আকার কলেজের অধ্যায়, আমার মোল্লা ভাই।
ত্বরা করে মারিফাতে আয়।।
এক
শরিয়াত হয় প্রাইমারী, তরিকত হাইস্কুল ধরি।
হকিকত কলেজ শোন তাই।
মারিফাত বিশ্ববিদ্যালয়, উচ্চ শিক্ষা হয় এই জায়গায়।
সর্ব উচ্চ ডিগ্রী দেয় হেথায়।।
দুই
প্রাইমারীর ছাত্র যিনি, কলেজের কি বোঝে তিনি।
তেমনি মতো তোমার অবস্থায়।
কলেজে রয়েছে যারা, প্রাইমারীর সব বোঝে তারা।
সর্ব বিদ্যা রয় তাহাদের ঠাই।।
তিন
শরিয়াত ছাড়িয়া এবার, চেষ্টা লও তরিকত যাবার।
পাস করিলে হকিকতে যায়।
হকিকত পাস করলে পরে, মারিফাতে নিবে তোরে।
জ্ঞান পাবি তুই সকল বিষয়।।
চার
প্রাইমারীই থাকলে চিরদিন, হইবে বিদ্যা বুদ্ধিহীন।
ঐ শিক্ষার তো কোনই মূল্য নাই।
এক ক্লাশে রইলে পড়ে, বিফল জীবন এই ভূধরে।
বলতেছে অধম সেরু পাগলায়।।
রচনা- ১৯-০২-১৯৯৭ ইং সাল
গান নম্বর- ২৪৫
মারিফাতের দলিল হয় কোরআন।
দেখো রাসুল হাদিসেতে, দিয়েছে তাঁহার প্রমাণ।।
এক
হাদিসে রাসুল প্রচারে, আল মারিফাত এছরারে।
নিগুড় তত্ত্ব এই কোরআনরে, নবীতে স্রষ্টার প্রদান।।
দুই
দেখো তুমি হাদিস পড়ে, লেখা আল ফকরু ফাকরে।
ওয়াল ফাকরু মিন্নি ধরে, দিলো ফকিরের সম্মান।।
তিন
আনা মাদিনাতু এলমে, আলিউন বাবুহা জেনে।
কোরআন বোঝো গুরু মেনে, সেরু পাগলার আহবান।।
রচনা- ১৯-০২-২০০২ ইং সাল
গান নম্বর- ২৪৬
শরিয়াতে ঈমানদার নাই, ঢুঁড়ে দেখো দুনিয়ায়।
ঈমানদারের জন্য নামায, বলেছেন সৃষ্টি কর্তায়।।
এক
হক্কলো একিনে গেলে, তাহারে ঈমানদার বলে।
বেল গায়েব শরিয়াত হলে, কেমনে তারা মুমিন হয়।।
দুই
ঈমান ছাড়া নামায পড়ো, ভূতের ব্যাগার খেটে মরো।
তাইতে বলি গুরু ধরো, চিনিতে আদ্য স্রষ্টায়।।
তিন
যে জনা হয় ঈমান ছাড়া, সে জনা এজিদের গড়া।
ইসলামের শত্রু হয় তারা, বলতেছে সেরু পাগলায়।।
রচনা- ১৯-০২-২০০২ ইং সাল
গান নম্বর- ২৪৭
নামায দেখো দুই প্রকারে হয়।
দায়েমি কায়েমি নামে, দিয়েছে তাঁর পরিচয়।।
এক
দায়েম হয় আদায়ি নামায, আদায় করাই তাঁর প্রধান কাজ।
আদায় করে ওয়াক্তে পাঁচ, গোলায় পুরে রাখতে হয়।।
দুই
কায়েমি নামায তারে বলে, যে ধন তুমি আদায় করলে।
প্রতিষ্ঠিত করো দিলে, তা যেন অক্ষত রয়।।
তিন
আদায় ও রক্ষা না করে, পড়াও নামায জীবন ভরে।
কি যে হবে শেষ বিচারে, দেখলে না করে নির্ণয়।।
চার
এখনো তোমার সময় আছে, যাও ছুটে মন গুরুর কাছে।
নামাযের ভেদ লওগে বুঝে, সেরু পাগলা তাহা কয়।।
রচনা- ১৯-০২-২০০২ ইং সাল
গান নম্বর- ২৪৮
ঈমানদারের জন্য নামায, কোরআন বলে তাই।
তাইতে আগে ঈমান আনো, ওহে আমার মোল্লা ভাই।।
এক
ঈমান শব্দের অর্থ কিবা হয়।
একিন শব্দের অর্থ বলো, করিয়া নিশ্চয়।
কোন একিনে পৌঁছাইলে, ঈমানদার হওয়া যায়।।
দুই
আকাইদের অর্থ হয় কেমন।
শরিয়াতের একিন কিবা, তাই বলো এখন।
সেই একিনের শব্দার্থ, হেথা খুলে বলা চাই।।
তিন
সেরু পাগলায় করে মিনতি।
হে মোল্লাগণ আগে বোঝো, ঈমানের রীতি।
নইলে বিফল ঐ বন্দেগী, বলছে কোরআন ইশারায়।।
রচনা- ২৮-০৭-২০০২ ইং সাল
গান নম্বর- ২৪৯
চাষ না করে বীজ ফেলিলে, ফল তাতে ফলিবে না।
ঈমান না আনিয়া নামায, পড়িলে কাজ হবে না।।
এক
বীজ বপনের আগে তুমি, চাষ করে লও তোমার জমি।
পরে বীজ করো বপনি, নইলে বীজও পাবে না।।
দুই
ঈমান হয় চাষেরি মতো, নামায বীজ বপনের মতো।
তাহলে ভেবে দেখো তো, তোমার পরিনাম খানা।।
তিন
তাইতে বলি ত্বরা করে, দাখিল হও মারফত ভিতরে।
নাম পড়িবে ঈমানদারে, সেরু পাগলার এই ব্যানা।।
রচনা- ২৮-২৭-২০০২ ইং সাল
গান নম্বর- ২৫০
আকাইদের অর্থ বিশ্বাস, ঈমান হয় বিশ্বাসের ধন।
একিন হয় বিশ্বাসের স্তর, মূল কথা করো শ্রবণ।।
এক
যাহার প্রতি বিশ্বাস আনবে, তাহারে ঈমান জানিবে।
যে প্রক্রিয়ায় ঈমান আনবে, তারেই একিন ভাবো মন।
পরিপূর্ণ বিশ্বাস আনতে – হবে একিন পাড়ি দিতে।
পঞ্চ একিন পাড়ি দিলে, ঈমানদার হবে তখন।।
দুই
বেল গায়েব অদেখা বিশ্বাস, এলমোল হয় জ্ঞান দ্বারা বিশ্বাস।
আইনুল হয় দেখিয়া বিশ্বাস, হক্কোল চেনা যায় যখন।
শোনা , চেনা, জানা হলে – তখন যায় একিন হুয়ালে।
হুয়ালে পৌঁছিয়া গেলে, ঈমানদার বলে তখন।।
তিন
শুনিয়া জ্ঞানে না নিলে, যাইয়া তা না দেখিলে।
মূল বিষয় নাহি চিনিলে, শোনা হবে অকারণ।
ঐ শোনার মূল্য না রবে – জিজ্ঞাসিলে কি বলিবে।
সেরু পাগলা ইহাই ভাবে, ভাবখানা অজ্ঞের মতন।।
রচনা- ২৮-০৭-২০০২ ইং সাল
গান নম্বর- ২৫১
এই মানুষে আল্লাহ্ আছে, শোন কোন পাগলে কয়।
যে পাগলের এহি কথা, দ্বীনের রাসুল সেই তো হয়।।
এক
কুলুবুল মোমিন আরশাল্লাহ, আল কালেবু বাইতুল্লাহ।
বলেছেন ঐ রাসুলাল্লাহ, হাদিস পড়ে জানতে হয়।।
দুই
জঙ্গলে ডরাই জীবাত্মা, নাহি ডরাই মানবাত্মা।
পরমাত্মায় আদি স্বত্বা, অতন্দ্রে রহে নির্ভয়।।
তিন
অজুদে সপ্তম আসমানে, যায় নবী মেরাজ কারণে।
মানবাত্মা পরমের সনে, সাক্ষাৎ করে মোনতাহায়।।
চার
আল্লাহ্র বাড়ি ওয়াযেবলে, দেখাইলো সেরু পাগলে।
দাও ভক্তি চরণ যুগলে, নহে তাঁহার রাঙা পায়।।
রচনা- ২৯-০৬-২০০৪ ইং সাল
গান নম্বর- ২৫২
শোন মারিফাতের পরিচয়।
মারিফাত বলিতে রাসুল, হাদিসে কি কথা কয়।।
এক
আল মারিফাত এসরারি, রাসুলে যায় প্রকাশ করি।
মারিফত নিগুঢ় তত্ত্ব ধরি, রহিয়াছে সর্বময়।।
দুই
বান্দা আল্লাহ্ হয়ে যায় লীন, ইহাই হয় মারিফাতের দ্বীন।
অচিন বস্তু হয়ে যায় চিন, অদেখা দেখিতে হয়।।
তিন
অন্ধ বিশ্বাস ছেড়ে দিয়ে, দেখিতে চাও মত্ত হয়ে।
যাবে ফানাতে পৌঁছিয়ে, সেরু পাগলা তাহা কয়।।
রচনা- ১০-০৬-২০০৩ ইং সাল
গান নম্বর- ২৫৩
তোমার নামায সত্য হলে, রোজা রাখা যাবে না।
রোজা পালন করতে গেলে, নামায তোমার হবে না।।
এক
সূরা আরাফ দেখো পড়ে, একত্রিশ আয়াতটিরে।
বলছে আল্লাহ্ নামাযীরে, মসজিদে আসার ব্যানা।।
দুই
মসজিদে আসিবার সময়, পোশাক পরিবে অবশ্যয়।
পানাহার করিবে নিশ্চয়, অপব্যয় করিবে না।।
তিন
পাঁচ ওয়াক্ত নামাযেতে, পাঁচবার আসো মসজিদেতে।
পাঁচবার হবে আহার করতে, তাহলে রোজা হয় না।।
চার
রোজা পালন করতে গেলে, নামায তোমার যায় বিফলে।
তাইতে কয় সেরু পাগলে, (মোল্লা) নামাযের ভেদ বোঝো না।।
রচনা- ০৭-০২-২০০৫ ইং সাল
গান নম্বর- ২৫৪
রাসুল আমার বাইয়াত করেছে।
হও না বাইয়াত এ মন্ত্রণা, কে তোমারে দিয়াছে।।
এক
রাসুলের হাতে হলে বাইয়াত, স্পর্শ পায় সে আল্লাহ্রই হাত।
বিজয় পায় সে পায় গনিমাত, (যা) আল্লাহ্তে বর্ত্ম আছে।।
দুই
(যদি) আল্লাহ্ স্পর্শের থাকে আশা, বুঝো সূরা ফাতহার ভাষা।
দশ আয়াতে বলছে খাসা, (আর) আঠারো হতে বাইশে।।
তিন
তোমার রাসুল রয় বর্তমান, বলিতেছে ঐ পাক কোরআন।
সূরা ইউনুস দেয় তাঁর প্রমাণ, আয়াত তাঁর সাতচল্লিশে।।
চার
বুঝো কোরআন চিনো রাসুল, ভেঙ্গে যাবে তোমার ঐ ভুল।
আহলে বাইয়াত ধর্মেরই মূল, সেরু পাগলায় বলতেছে।।
রচনা- ২৫-০৫-২০০৬ ইং সাল
গান নম্বর- ২৫৫
আহলাল বাইয়াতি হলে, ভয় তাঁহার আর থাকে না।
সর্বদায় রহমত বরকত, দিবে তাঁকে রাব্বানা।।
এক
ইব্রাহীম নামে নবী ছিল, আহলে বাইয়াত হইলো।
আশি বৎসরে সন্তান পেলো, রহমতের এই নমুনা।।
দুই
যৌবন ছাড়া হয় না সন্তান, জগতে আছে তাঁর প্রমাণ।
আহলে বাইয়াতকে তাই দান, করেছে আল্লাহ্ দেখো না।।
তিন
কথা বিশ্বাস না হইলে, পড়ে দেখো কোরআন খুলে।
হুদ সূরা সাত রুকুই গেলে, পাবে তাঁহার বর্ণনা।।
চার
যৌবন অটুট রাখতে হলে, এসো বাইয়াতি আহলে।
বৃথা জনম তা না হলে, সেরু পাগলার এই ব্যানা।।
রচনা- ২৫-০৫-২০০৬ ইং সাল
গান নম্বর- ২৫৬
না জেনে পাঞ্জাতন ব্যানা, পড়ছো নামায অকারণে।
পাঁচ অজুদে বিরাজিত, চিনো মন সেই পঞ্চজনে।।
এক
খাক জাতে আরেফেল অজুদ, ছিলো আদম সেই ধামে।
পড়িয়া ফজরের নামায, হয় জলি হুসাইনে।
জাতে আব অজুদ মোমতেনাল – তাই ইব্রাহীম যোহরী হাল।
হাসান তথা রয় চিরকাল, কালবীতে সাধকে চিনে।।
দুই
জাত আতশ মোমকেনাল অজুদ, রুহি হাল তার আছরে।
পরিত্রাণ পর পড়ে ইউনুস, ফাতিমা রয় সেই ঘরে।
অহেদাল অজুদ বাত জাতে – দেখা পাবে ঐ ছিররিতে।
পড়ে ঈসা মাগরিবেতে, আলী ধনী হয় সেই ধনে।।
তিন
সাফা হয় ওয়াযেবল অজুদ, খফি হয় তাঁর নামায হাল।
পড়লো মুসা এশার নামায, ছিন্ন করে মায়াজাল।
হেথা মোহাম্মদ পোঁছিলে – পাঞ্জাতন হয় জাত মণ্ডলে।
তাইতে কয় সেরু পাগলে, পড়িসনে নামায ভেদ না জেনে।।
রচনা- ২৮-০২-২০০৭ ইং সাল
গান নম্বর- ২৫৭
বাউলরে তোর একতারাতে, এ সুর দিলো কোন মহাজন।
যে সুরেরই মধুর তানে, ঘর ছেড়েছে লালন, হাসন।।
এক
কবি জালাল, পাঞ্জু শাহে, মজিয়া ঐ সুরের মোহে।
দিন কাটালো উদলা গায়ে, গোঁসাই গোপাল, মনোমোহন।।
দুই
বিজয় সরকার আর রামলালে, দ্বিজ দাস, ভবা পাগলে।
রাম প্রসাদ এই সুরের তালে, গাইলো কেবল হরি কীর্তন।।
তিন
কি মহিমা তোর একতারে, যে মজিলো সেই ঘর ছাড়ে।
সেরু পাগলা ঐ একতারে, মন দিয়ে তাঁর মন উচাটন।।
রচনা- ১৭-০৯-২০০৭ ইং সাল
গান নম্বর- ২৫৮
আমি বাউল একতারাতে, বৈরাগী সুর নিয়ে ঘুরি।
যে মজে একতারার সুরে, সে কি আর করে সংসারী।।
এক
মজে ছিলো ফকির লালন, মজে ছিলো মনোমোহন।
রাম প্রসাদ সুর করে শ্রবণ, ছিন্ন করলো মায়া বেড়ী।।
দুই
রাধা বল্লভ হাসন রাজা, ভবা পাগলা ভব ধ্বজা।
ছাড়িলো পেয়ে সুর মজা, সাজিলো অকুল বিহারী।।
তিন
সেরু পাগলা সুর শুনিলো, ঐ সুরে নাহি মজিলো।
সংসার মায়া তাঁর না গেলো, তাই তাঁর অচল দ্বীনো তরী।।
রচনা- ১৬-০৯-২০০৭ ইং সাল
নূর তত্ত্ব
গান নম্বর- ২৫৯
সপ্ত ভাগে নূরেরই গঠন।
মোহাম্মদ, আহাম্মদ, আহাদ, জাতি, সেফাতি, ধরণ।।
এক
স্রষ্টা হতে যে নূর ঝরে, নাম পড়ে তাঁর আহাদ নূরে।
আহাদ নূর বিভক্ত করে, আর দুটি নূর হয় সৃজন।।
দুই
একটি নূর তাঁর হয় আহাম্মদ, আরেকটি নামে মোহাম্মদ।
দ্বি-খণ্ড হয় ইচ্ছাতে খোদ, তিন নূরের হয় তিন বরণ।।
তিন
আহাম্মদ নূর দু-ভাগ হলে, নাম ধরে জামাল, জালালে।
আদি নূরের ইচ্ছা বলে, স্বয়ংক্রিয় জীবের তন।।
চার
মোহাম্মদ নূর দু-ভাগ করে, জাতি নূর ও সেফাত নূরে।
গুণে দেখো সপ্ত হয়রে, সেরু পাগলার এই বচন।।
রচনা- ২৮-০৯-২০০৪ ইং সাল
গান নম্বর- ২৬০
নূর কভু নেভে নারে মন, কেবল অস্তমিত হয়।
একদিকে অন্ধকার হলে, আরেক দিক তাঁর আলোকময়
এক
সেফাত নূর অস্তমিত হলে, ধরার জীবকে মৃত বলে।
ভেবে দেখো সে স্থলে, আহাদ নূর বর্ত্মিত রয়।।
দুই
আহাদ নূরে কর্ম করে, তাইতে দেহে পচন ধরে।
সর্বস্থলে এ ভূধরে, আহাদ নূরের অস্ত নাই।।
তিন
মৃত জীবন্ত মাঝারে, আহাদ নূর বসতী করে।
সেরু পাগলা তাই তোমারে, নিগুঢ়ে বুঝিতে কয়।।
রচনা- ২৮-০৯-২০০৪ ইং সাল
গান নম্বর- ২৬১
নূর বিহনে ত্রি-জগতে, কারের দেখো মূল্য নাই।
ত্বরা করে বুঝে নাও মন, নূর বলিতে কি বুঝায়।।
এক
স্বয়ং স্রষ্টা আহাদ নূর হয়, ঝরিলেও সে আহাদ নূর রয়।
নূর হয় জীবের জীবন নিশ্চয়, ভেবে দেখো তুমি তাই।।
দুই
নূর করে কর্মময় জীবন, সৃষ্টিতে ভরায় ত্রি-ভুবন।
নূর বিনে অন্ধকার গহন, অন্ধকার বলো কে চাই।।
তিন
নূর বিহনে হয় অন্ধকার, খুঁজে না পায় আর অন্য কার।
নূরে হইতেই আকার, সাকার, নৈরাকার বিম্বাকারাই।।
চার
নূরেই দেয় কারের পরিচয়, না হলে সব অন্ধকারময়।
সেরু পাগলা তাই ভেবে কয়, থাকো মন নূর সাধনায়।।
রচনা- ২৪-১০-২০০৪ ইং সাল
গান নম্বর- ২৬২
আদি পঞ্চ নূরের হিসাব, করিতেছি বর্ণনা।
আহাদ, আহাম্মদ, মোহাম্মদ, জাতি, সেফাতির ব্যানা।।
এক
আহাদ নূর হয় স্রষ্টা নিজে, ঝরিলেও আহাদই রয় সে।
আহাদ নূর জীবনের মাঝে, রয়েছে হয়ে ফানা।।
দুই
আহাম্মদ নূর জীবেরও তন, মোহাম্মদ নূর জীবেরো মন।
তন, মন, জীবন নিয়ে গঠন, মহাবিশ্বের সব জনা।।
তিন
জাতি নূর হয় ধরার রবি, আলোকময় করেছে সবই।
সেফাতি নূর চন্দ্রে পাবি, একবার ভেবে দেখো না।।
চার
সেরু পাগলা ভেবে বলে, নূর হলো তোর আদ্য মূলে।
নূর বাদে সব যায় বিফলে, কারে কিছুই পারে না।।
রচনা- ২৪-১০-২০০৪ ইং সাল
গান নম্বর- ২৬৩
কার তোমার হয় কতো প্রকার, কি-কি নামে তারা রয়।
কোন কার কি দিয়ে তৈরি, অবস্থান কাহার কোথায়।।
এক
নূর আগে না কার হয় আগে, তাই তুমি বল আমাকে।
মূলে ঐ কার কতো ভাগে, সর্বমোট কার কতো হয়।।
দুই
নূরের আগে কার হইলে, কি ভাবে কার নির্ণয় করলে।
নূরের পরে কার হইলে, প্রথমে কার কোথা রয়।।
তিন
নূর বাদে কার চিহ্নিত, কীভাবে করলে বলো তো।
সেরু পাগলা প্রথমত, এই কথায় জানিতে চাই।।
রচনা- ২৪-১০-২০১৮ ইং সাল
গান নম্বর- ২৬৪
সৃষ্টি শুরু নূরের দ্বারায় হয়।
আল্লাহ্ হলো সৃষ্টির স্রষ্টা, সে হইলো নূরে নূরময়।।
এক
আল্লাহ্ নূর হইলে পরে, নূর হলো সবার উপরে।
সকল সৃষ্টি নূরের পরে, এ কথা মানো নিশ্চয়।।
দুই
নূরহীন বস্তু নূর সম্মুখে, পড়িলেই নূর যায় গো আটকে।
নূর চলার প্রতিবন্ধকে, কার নামে হয় পরিচয়।।
তিন
সম্মুখ ভাগ তখন হয় আকার, পিছন ভাগ তাঁর হয় অন্ধকার।
সেরু পাগলা কয় সকল কার, নূর হইতেই সৃষ্টি হয়।।
রচনা- ০৫-০৭-২০১৮ ইং সাল
কার তত্ত্ব
গান নম্বর- ২৬৫
এগারো কারেরই খবর, বলতেছি করো শ্রবণ।
অন্ধকার, ধন্ধকার, আকার, কুয়াকার ও দীপ্তকার।।
এক
সাকার, নীরাকার, বিম্বকার, শিম্বকার আরও ডিম্বকার।
শেষেতে হইলো হু-হুংকার, এই হইলো এগারো কার।।
দুই
নূর তোমার কতো প্রকারে, রহিয়াছে ভব পরে।
কোন নূরে কোন নামটি ধরে, করিতেছে জীব উদ্ধার।।
তিন
নূর নিভিয়া গেলে পরে, সেথায় কি অবস্থান করে।
তখন নূর যায় কাহার ধারে, এ প্রশ্ন সেরু পাগলার।।
রচনা- ২৫-১০-২০০৪ ইং সাল
গান নম্বর- ২৬৬
কারের ব্যানা শুনে নাও মন, দিচ্ছি তাঁহার পরিচয়।
যে স্বত্বায় নূরের উৎপত্তি, তাহারেই কার বলা হয়।।
এক
প্রথমে ছিলো অন্ধকার, ঘর্ষণে হলো দীপ্ত কার
তখন প্রকাশ হয় ধন্ধকার, কুয়া কারে সর্বময়।।
দুই
কার স্বত্বা শক্তি দিলে, আকার হলো ভূমণ্ডলে।
সাকারে নিজেরে চিনলে, নীরাকার হইয়া যায়।।
তিন
নীরাকারে সাকার পড়ে, রূপ ধরে সে বিম্বকারে।
শিম্বকার হয় আরশি পরে, পাঞ্জাতন তাঁহারে কয়।।
চার
পাঞ্জাতন ঐ ডিম্বাকারে, ভেসে বেড়ায় নীরাকারে।
হু-হুংকারে খণ্ড করে, সেরু পাগলার সৃষ্টি হয়।।
রচনা- ১৫-১০-২০০৪ ইং সাল
বিচ্ছেদ
গান নম্বর- ২৬৭
অন্তরে তোমার নাম লিখে রেখেছি।
হৃদয় খুলে দেখে নাও তোমায় কত ভালোবাসি।।
এক
প্রথম যেদিন দেখেছিলাম লেগেছিল ভালো।
তাইতে পাওয়ার আশা মনে, আমার জেগেছিল।
ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে তাইতো ডেকেছি।।
দুই
ডাকে সাড়া দিয়ে তুমি এলে সংগোপনে।
আদরে বসিতে দিলাম হৃদয়ও আসনে।
বুঝিতে পারিনি মন কখন যে দিয়েছি।।
তিন
বুঝিতে পারিলাম যখন মনে দিয়ে ব্যাথা।
চলে গেলে কোন সুদূরে আমায় ফেলে একা।
একাকী জীবনে শুধু বিরহে দিন গুনেছি।।
চার
সেরু পাগলা বলে কোকিল বলিস বন্ধুয়াকে।
ভালোবেসে দূরে ফেলে এসেছো যাহাকে।
আজো সে তোমার প্রতীক্ষায় কাঁদে দিবানিশি।।
রচনা- ১৬-০৭-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ২৬৮
ভালোবাসার বিনিময়ে ব্যাথা আশা করিনি।
হৃদয় দিয়ে সুখের আশায়, পেলাম দুখের খনি।।
এক
হৃদয় দিয়ে বাসলাম ভালো, হৃদয় পাওয়ার আশে।
হৃদয় নিয়ে চলে গেলে, ব্যাথা দিয়ে শেষে।
রেখে গেলে স্মৃতি সে-তো, বেদনার ও বাণী।।
দুই
স্মৃতিতে জড়ানো আছে, শুধুই প্রীতি কথা।
প্রতি ক্ষনে সেই স্মৃতি, দিচ্ছে এখন ব্যাথা।
অন্তরে স্মৃতির পাহাড়, কাঁদে একাকিনী।।
তিন
একাকিনী কাঁদি এখন, নিশিদিন বিজনে।
কাঁদে সে-কি মোর লাগিয়া, জানিতে চাই মনে।
তাঁর কি দেখা পাবো ভবে, থাকিতে প্রানখানি।।
চার
পরদেশিয়া হৃদয় নেওয়ায়, দুঃখ পাইনি আমি।
যদি স্মৃতিটুকু নিয়ে, যেতে বন্ধু তুমি।
সেরু পাগলা বলে সুখী, হইতাম তখনই।।
রচনা- ১৬-০৭-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ২৬৯
হৃদয় মোর কাঙ্গাল হয়েছে যাহার ও কারণে।
সে আনন্দ করছে বোধ হয় মধুর বৃন্দাবনে।
আর কি তাহার পাবো দেখা এ ভরা যৌবনে।।
এক
সে যে আমার আশার ঘরে পূর্ণমাসির চাঁদ।
আশা ছিল তারে লয়ে মিটাইবো সাধ।
(আমার) সে আশাতে ছাই দিয়েছে সই, বৃন্দবাসীগণে।।
দুই
যা লো বৃন্দে বলগে তারে আমারো কাহিনী।
হৃদে শ্রী-কৃষ্ণ লয়ে মোর কাটে দিন রজনী।
হৃদয়ের ধন রাখবো হৃদে গো, জীবনে মরণে।।
তিন
এ জীবনে নাহি দেখে যদি মরণ হয়।
জানবি তোরা ভবের পিরিত সুখের লাগি নয়।
ব্যাথায় ভরা ধরার পিরিতরে সখি, জানিয়ে দিস ভুবনে।।
চার
আমি মরে যাবো নিয়ে যাবো হৃদে কৃষ্ণ ধন।
শ্রী-কৃষ্ণ থাকিলেও দেখবি শুন্য বৃন্দাবন।
সেরু পাগলা বলে সেথায় রে মিলিবো দুইজনে
রচনা- ১১-১০-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ২৭০
আমি যাবো না যাবো না, সেই দেশে যাবো না, যেই দেশে বন্ধুয়া নাই।
আমি যাবো সেই না দেশে, বন্ধুরো তালাশে, যেই দেশে বন্ধুরে পায় গো।।
এক
আমি খুঁজি দিবানিশি, বন্ধু কালা শশী, যে আমার পাশে আজ নাই।
ও সে ছিল আমার পাশে, প্রেমেরই আবেশে, আজ কেন সে পাশে নাই গো।।
দুই
আমার বন্ধু নিঠুরীয়া, পাগল করে হিয়া, চলে গেছে অজানায়।
আমি প্রাণ বন্ধুয়ার আশে, যাবো লো প্রবাসে, কলঙ্কের ভয় আমার নাই গো।।
তিন
তোরা বৃথা করিস মানা, আমার প্রানে যে সহে না, বন্ধু বিনে বাঁচা দায়।
তোরা কি বলিস লো সখি, আমার হয়েছে আজ একি, মুখে কি তা বলা যায় গো।।
চার
সেরু পাগলা কেঁদে বলে, তোরা বন্ধুর দেখা পেলে, সে খবর বলিস আমায়।
আর বলিস বন্ধুয়াকে, ফেলে এসেছো যাহাকে, সে তো ভোলে নি তোমায় গো।।
রচনা- ০৫-০৬-১৯৯৬ ইং সাল
গান নম্বর- ১৭১
আমি তোমার প্রেমের কাঙালিনী।
সোনা বন্ধুরে-
এক
বন্ধুরে- প্রথমো পিরিতের কালে, সোহাগে বলিয়াছিলে।
আমায় ফেলে, যাবে না কখনি।
এখন কেন অভাগীরে, কাঁদাও তুমি রেখে দূরে।
এতো পাষাণ তোমার হৃদয়খানি।।
দুই
বন্ধুরে- তোমার প্রেমে মজে আমি, জগতে হই কলঙ্কিনী।
এ বিজনে কাঁদি একাকিনী।
এ দুঃখ বলার জায়গা নাই, কোথায় গেলে তোমারে পায়।
এ ভাবনায় কাটে দিন রজনী।।
তিন
বন্ধুরে- নিঝুমো ঐ নিরালাতে, ভাবি বসে দিনে রাতে।
হঠাৎ জানি আসিবে কখনি।
দিনের পরে মাস যে গেলো, মাস শেষে বছর আসিল।
আজও ফিরে তুমি তো আসোনি।।
চার
বন্ধুরে- তোমার আশায় বসে থাকি, কেউ করিলে ডাকাডাকি।
তোমায় ভেবে দেয় হৃদে চমকানি।
ফিরে দেখি অন্য কেহ, প্রেমানলে পোড়েই দেহ।
সেরু পাগলার নিত্ত এ দাহনি।।
রচনা- ০৫-১২-২০০০ ইং সাল
গান নম্বর- ২৭২
প্রেম করে কাঁদিতে হবে গো সখী, ছিলো না তো জানা।
এখন আমি সব হারাইয়া, হইয়াছি দিউয়ানা।।
এক
সুখের আশায় প্রেম করিয়া গো, মন করলাম লেনাদেনা।
বুঝিনি সে দেয়নি যে মন, করেছে ছলনা।।
দুই
মন নিছে মন দেয়নি সখী গো, করেছে প্রতারণা।
সে বিনে এখন যে ঘরে, থাকিতে পারি না।।
তিন
কারো সনে বলতে কথা গো, সখী মনে আর চাহে না।
গৃহ মাঝেও একাকিনী, মন আমার বসে না।।
চার
এ জ্বালা কঠিনো জ্বালা গো, সখী পরাণে সহে না।
সেরু পাগলার এই জীবনে, সার হইলো কান্না।।
রচনা- ১০-০৭-২০১৩ ইং সাল
অন্যান্য
গান নম্বর- ২৭৩
মইরা যায়, ঘিন্নায় মইরা যায়।
আমার সামনে দাঁড়াইয়া, যে গান সে গেলো গাহিয়া।।
কাণ্ডজ্ঞান তাঁর কিছুই নাই।।
এক
তাহার আমার পরিচয় ইয়ার্কিরো নহে
কেমনে তবে আমার সামনে এমন কথা কহে।
মনে হয় বাপ বিদ্যাবুদ্ধি কিছুই শিখায় নাই।
নিজের ও মা বোনকে বোধ হয়, এলোক ছাড়ে নাই।
ইচ্ছা করে বেহাইয়ারে, থাপ্পড় মারি কানে ধরে।
এই জ্ঞানহীনের শরম নাই।।
দুই
গান গেয়েছো বাছাধন বহু জনের সাথে।
আজকে তুমি পড়ে গেছো ঠিকই যমের হাতে।
আমার গানের উত্তর রেখে শুধুই বাজে কথা।
আজেবাজে বকছে যাহার নাইরে আগামাথা।
আজকে এমন শিক্ষা পাবে, বাপদাদার নাম ভুলে যাবে।
আর যে তোমার রক্ষা নাই।।
তিন
প্রথমেতে চুল কাটিবো টাক করিব মাথা।
শহরে ঘুরাইয়া বলবো হনুমান দেবতা।
চুনকালি মাখাইয়া মাথায় ঢেলে দেবো ঘোল।
পিছে লেজ লাগাইয়া কাঁধে তুলে দেবো ঢোল।
নেচে বলবে এই উপহার, হাস্য রসিক সেরু পাগলার।
যার তুলনা ভবে নাই।।
রচনা- ১৯-০৮-২০০৪ ইং সাল
গান নম্বর- ২৭৪
দেখি সব কানা বোবার পারাপার।
এক কানাতে লাঠি ধরে, আরেক কানাকে করছে পার।।
এক
কানায় কানাকে যুক্তি দেয় আর, কানায় কানাকে পথ দেখায়।
কানায় কানাকে হাতি দেখায়, কাচির আকার দুধ বানায়।
তরল বস্তু শক্ত করে, শুনতে লাগে কি মজার।।
দুই
বোবায় বোবাকে গল্প শোনায়, গল্পে হাঁসির রস জমায়।
গল্প বলে এক বোবাতে, আরেক বোবাকে কাঁদায়।
কি বোঝে কি না বোঝে তাঁর, হাঁসা কাঁদায় হয় রে সার।।
তিন
পুঁথি পড়া নাম জানা সব, কানারা কি গোল বাধায়।
গেঁয়ো ঘরের মূর্খ বোবা, তাই শুনে করে হায় হায়।
সামসুদ্দিন কয় পাগলা সেরু, বস্তু দর্শন নাই রে তাঁর।।
রচনা- ১১-০৮-১৯৯৩ ইং সাল
গান নম্বর- ২৭৫
প্রতিবন্ধী বলে মোদের, দেশের বোঝা ভেবো না।
অধিকার চাই যে মোরা, চাহি না যে করুণা।।
এক
(দেশে) দশ শতাংশ প্রতিবন্ধী, তাঁদের নিয়ে করছো ছন্দি।
নির্যাতনে করে বন্দী, দেশের ক্ষতি করো না।।
দুই
আমরা আছি দশ ভাগ ভোটার, ভোট দিয়ে বানায় গো সরকার।
তারাই আজ আমাদের দরকার, ভুলেও মনে করে না।।
তিন
প্রতিবন্ধীর এই আবেদন, সুযোগ মোদের দিয়ে দেখুন।
সুস্থদের সমান উন্নয়ন, করিতে পারি কি না।।
চার
প্রতিবন্ধী এহি দেশে, আছে উচ্চ কাজে মিশে।
সেরু পাগলা বলে এসে, খোঁজ করিয়া দেখো না।।
রচনা- ১৫-১২-২০০৪ ইং সাল
গান নম্বর- ২৭৬
ভাই রে ভাই, মুনির চানের গুণ বলে শেষ করা যায় না।
কণ্ঠ তাঁহার ভেড়ীর মতো, চেহারা জলহস্তী পানা।।
এক
ও সে সকলের দোষ ধরে বেড়ায়, নিজের দোষ সে দেখে না ভাই।
পরচর্চা করেই গেলো জীবন খানা।
যেমন দেখো বুড়া হলেও, বাঁদরের বাঁদরামি যায় না।।
দুই
সোনিয়া গান শিখতে ছিল, মুনিরের নজরে পড়লো।
বড় শিল্পী বানাইবার দেয় বাহানা।
বাড়ি এনে বৌ বানালো, গান শেখা তাঁর আর হলো না।।
তিন
বলে নারী জাতি হয় অসতী, নিজেই সাত নারীর হয়েছে পতি।
শেষ পর্যন্ত কয়টা করে বলা যায় না।
চোরের মায়ের বড় গলা, মুনির চান তাঁর প্রমাণ খানা।।
চার
পরের গীবত না গাহিয়া, নিজের মুখখান দেখো চাইয়া।
শেষে হলেও কিছু তোমার হবে জানা।
সেরু পাগলা বলে ভেবে, মুনির চান আস্ত জ্ঞান কানা।।
রচনা- ০৬-০৪-২০০৫ ইং সাল
১। আলোচনা করে জ্ঞানীগণ, ঝগড়া করে অজ্ঞানীগণ ও মারামারি করে পশুগণ। গুরুজি সেরু পাগলার বাণী।
২। স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নেওয়া ছলনাময়ী আশ্রয়টুকুর নামই, প্রেম বা ভালবাসা। গুরুজি সেরু পাগলার বাণী।
৩। যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই ইসলাম বা শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন। আর- যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্ব অ-শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই অ-ইসলাম বা অ-শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন। গুরুজি সেরু পাগলার বাণী।
৪। আস্তিক হলো তারাই- যারা বিশ্বাস করে আল্লাহর অস্তিত্ব আছে। আল্লাহ দেহধারী, তাকে দেখা যায় ও তাকে ধরা যায়।
নাস্তিক হলো তারা- যারা মনে করে আল্লাহ নিরাকার, তাকে দেখা ও ধরা যায় না।
আর যারা বিশ্বাস করে স্রষ্টা বলতে কিছু নাই, তারা মূলতঃ ভণ্ড। গুরুজি সেরু পাগলার বাণী।।
(137)
0 Comments